WAZIPOINT Engineering Science & Technology: September 2013

Saturday, September 28, 2013

পাখির বাসার সোপ



পাখির বাসার সোপ


উন্নত মানের এক পাউন্ড পাখির বাসার দাম প্রায় ৪,৫০০ ইউএস ডলার।

আমরা বিভিন্ন সময় নানা রকমের খাবারের গল্প শুনে থাকি বা বিভিন্ন মিডিয়ায় আশ্চর্য রকমের খাবার গ্রহণের ভিডিও দেখে থাকি। আজ আমরা তেমনি একটি আশ্চর্য নোঙরা খাবারের বিষয়ে জানব। খাবারের বিষয়ে যারা বেশি সেনসিটিভ তাদের এ লেখা না পড়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।



সংগৃহিত সুইপ্টলেট্স পাখির বাসা
সংগৃহিত সুইপ্টলেট্স পাখির বাসা
এমনও লোক আছে যারা পাখির বাসার সোপ খেতে ভীষণ ভালবাসেন। তারা এটাকে বিভিন্ন ঔষধি গুণসম্পন্নও মনে করেন। আপনি হয়তো ভাবছেন পাখির বাসা, সেখানে কিছু শুকনো পাতা বা খড়কুটো রয়েছে যাতে এমন যাদুকরী শক্তি থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু ভাল করে চিন্তা করে দেখুন এ বাসাগুলো আসলে পাখির পায়খানা, ত্যাগকরা মল শুকিয়ে শক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে। আপনি যখন এক বাটি সোপ খাচ্ছেন তার মানে বিভিন্ন মস্‌লা দিয়ে তৈরি করা একবাটি পায়খানা খাচ্ছেন!!


শুনতে যতটা খারাপ মনে হচ্ছে আসলে অতটা না। এই বাসাগুলো সুইপ্টলেট্স নামক এক ধরনের ছোট্ট পাখির তৈরি যারা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন কেভ এ বাস করে। হংকং এ পাখির বাসার সোপের বেশ কদর রয়েছে। উন্নত মানের এক পাউন্ড পাখির বাসার দাম প্রায় ৪,৫০০ ইউএস ডলার।



ফিলিপাইন এর উত্তরাঞ্চলীয় সমুদ্রতীরয় পর্যটন শহর এল'নিডো এর কিছু রেস্টুরেন্টে পাখির বাসার সোপ পরিবেশন করে। আসলে ফিলিপিনোরা এ সোপ খায়না, পর্যটকদের জন্য আয়োজন করে থাকে। এল'নিডো শহরের পার্শ্ববর্তী ব্যাকোইট বে দ্বীপ অঞ্চলের চুনা পাথরের পাহাড় থেকে ফিলিপিনোরা এই পাখির বাসা সংগ্রহ করে।


কপি লুয়াক কফিঃ






লুয়াক বিড়াল কফি ফল খাচ্ছে


১৯ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডাচরা ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রায় কফি চাষ শুরু করেন। কিন্তু দামি কফি-দানা তারা স্থানীয় কৃষকদেরকে ব্যবহার করতে দিত না।


 কিন্তু কৃষকরা দেখতে পেল লুয়াক বিড়াল তাদের খামারের কফি ফল খাচ্ছে কিন্তু কফির বীজ হজম করতে পারছে না, যা পায়খানার সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে। তখন তারা এই বিড়ালের পায়খানা সংগ্রহ করে হজম না হওয়া বীজ পৃথক ও পরিষ্কার করে ভেজে গুড়া করে তারা তাদের প্রাণপ্রিয় পানীয় কফির স্বাদ পেতে লাগল। 


কপি লুয়াক বা সিভেট ক্যাট কফি'কে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কফি হিসেবে অভিহিত করা হয়।

 কপি হলো ইন্দোনেশিয়ান শব্দ যার অর্থ কফি, আর লুয়াক হলো এক ধরনের বিড়াল, আর এ দু'য়ের মিলনে হয় কপি লুয়াক। 

সদ্য ত্যাগকৃত লুয়াক বিড়ালের পায়খানা

উত্কৃস্টমানের কফি নির্বাচনের জন্য কফি ফলের এ্যারাবিকা গন্ধই একমাত্র মাধ্যম যার সাহায্যে নির্ধারণ করা হয়। আর এক্ষেত্রে সিভেট ক্যাট তার সুপার ন্যাচারাল আলট্রা সেনসিটিভ গন্ধ নির্ধারণ পদ্ধতির সাহায্যে বাগানের সবচেয়ে ভাল ও পাঁকা সুমিষ্ট ফলগুলো খেয়ে থাকে। এগুলো বিড়ালের হজম প্রক্রিয়া যন্ত্রের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় এনজাইম যা প্রকৃতিগত ভাবে পাকস্থলীর ভিতর তৈরি একধরনের রাসায়নিক পদার্থের সাথে মিশে কফি দানার উপরের নরম অংশ ক্ষয়ে গিয়ে বিশেষ ফারমেন্টেশনের মাধ্যমে ভেতরের সার অংশে রূপান্তরিত হয় যা থেকেই বিশ্ব সেরা স্বতন্ত্র এক মসৃণ পানীয়ের সৃষ্টি হয়।

কফি তৈরির জন্য সংগৃহিত পায়খানা
 হজম না হওয়া কফির বীজ ক্লাস্টার আকারে কৃষকরা সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে।

কপি লুয়াকের এই গুণ শুধুমাত্র সিভেট ক্যাট থেকেই সম্ভব যা উন্মুক্ত ভাবে যে কোন জায়গায় ঘোরে বেড়াতে পারে ও পছন্দ মত ফল খেতে পারে। এরা শুধু পাঁকা এ্যরাবিকা কফিই ফলই খায় না, সাথে অন্যান্য সুমিষ্ট ফল যেমন-পাঁকা কলা, পেঁপে খেয়ে থাকে। আর এসবের প্রকৃতিগত সংমিশ্রণেই উন্নত গুণের কপি লুয়াক কফি পাওয়া যায়।



অবশেষে আপনার সমস্ত ক্লান্তি দূর করার জন্য প্রস্তু

Thursday, September 26, 2013

এনার্জি সেভিং এর সহজ পাঠ

Save Energy Everyday


মাসের খরচের হিসাবের খাতা বের করুন। মাসিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ পৃথক করুন। 

নিম্নোক্ত ভাবে খাত ওয়ারী চিন্তা করুন এবং দীর্ঘ মেয়াদি খরচ বাঁচান।


পরিবারের সবাইকে সম্পৃক্ত করুন। সুবিধাজনক সময়ে সবার সাথে আলোচনা করুন, কিভাবে পারিবারিক  জিনিসপত্র ব্যবহারের সময় যেমন- রান্নার সময়, ধোয়ার সময়, বিনোদনের সময়, ভ্রমণের সময় ইত্যাদি কাজে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানো সম্ভব।


বুদ্ধিমত্তার সহিত কেনাকাটা করুন। নতুন জিনিস কেনার পূর্বে বিক্রেতা বা বিভিন্ন সোর্স থেকে স্মার্ট ও এনার্জি ইপিশিয়েন্ট ডিবাইস্ সম্পর্কে অবহিত হয়ে ক্রয় করুন।


কোন কোন প্রতিষ্ঠান বিশেষ আইটেমের জন্য ভর্তুকি, কর রিভেট, কিস্তি বা অন্যান্য সুবিধা দিয়ে থাকে। আশপাশের পরিচিত জনদের সাথে পূর্ব আলোচনা করলে সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।

পরিবার থেকেই প্রথম শুরু করতে পারেন:

আপনার বাড়ি কি  আধুনিক এনার্জি স্ট্যান্ডার্ড । অর্থাৎ আপনার ঘরের দেয়াল, মেঝে, সিলিং  এর আলোর প্রতিফলন, তাপমাত্রা শুষন ও শব্দ দোষণ হ্রাস করন ক্ষমতা এনার্জি সেভিং এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।নতুন বাড়ি করার সময়ই আপনাকে ভবিষ্যতের এনার্জি সেভিং এর বিষয় খেয়াল রেখে ডিজাইন করতে হবে। বিল্ডিং এর অবস্থান, সান শেডিং সিস্টেম, জানালা-দরজা ডিজাইন ও স্থান নির্বাচন, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে প্রাকৃতিক সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সত্যিকারের এনার্জি সেভিং করা যেতে পারে।

বর্তমানে যেখানে বাস করছেন সেখানেও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে এনার্জি সেভ করতে পারেন-

  •  আপনি যদি কেন্দ্রীয় শীততাপ নিয়ন্ত্রণ বা গরম পানি ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকেন তা হলে জেনে রাখা ভাল, ১৯ ডি.সে. তাপমাত্রা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং ৬০ ডি.সে. তাপমাত্রা আপনার পানির ট্যান্কির জন্যই যথেষ্ট। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য যদি থার্মোমিটার না থাকে আজই তা লাগিয়ে নিন।

  •  শীতের সময় বাহিরের তাপমাত্রা কমে গেলে জানালার পর্দা বন্ধ রাখুন। জানালা ও দরজার ফাঁকগুলো বন্ধ করে দিন। গরম পানির পাইপসমুহের তাপ-হ্রাস কমানোর জন্য ইন্সুলেশন করে নিন।

  •  ভাড়া বা ক্রয়ের সময় বাড়িটি কতটা এনার্জি সেভিং উপযোগী তা বিবেচনা করতে হবে। 



আপনার বাড়ির ও এনার্জি সেভিং ডিভাইস সমূহের সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রহণ করতে হবে-



  •  আপনার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম প্রতি বছর মেইনটেনেন্স ও ইপিসিয়েন্সি পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
  •  পুরাতন হিটিং সিস্টেম ও বয়লার পরিবর্তন করে অধিক দক্ষতা সম্পন্ন দারা প্রতিস্থাপন করে নিন।
  • জানালা পরিবর্তনের সময় কাঁচগুলো তাপ নিরোধক বা ভিতরের তাপ বাহিরে ও বাহিরের তাপ ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় না এমন কাঁচ দারা পরিবর্তন করে নিন।



পণ্য নির্বাচনে জ্বালানী সাশ্রয়:

নতুন পণ্য ক্রয়ের সময় এনার্জি রেটিং ও পারফর্মেন্স লেবেল চেক করে নিতে হবে। আপনাকে ক্রয় মূল্য ও পণ্যের সারা জীবনের সাশ্রয়-কৃত এনার্জির মূল্য তুলনা করতে হবে।


গুনগত মান বিবেচনা করে পণ্য নির্বাচন করতে হবে- আপনার ফ্রিজারের দরজা ভালভাবে লাগে কিনা দেখতে হবে, ঠান্ডার পরিমাণ নির্ধারণের চাবি যথাস্থানে আছে কিনা দেখতে হবে, বরফ জমে কোন লাইন বন্ধ যয়ে যায় কিনা দেখতে হবে, কারণ এসবের উপর নির্ভর করছে আপনার ফ্রিজারের পারফর্মেন্স।


ডিস ওয়াশার ও লন্ড্রি-মেশিন ব্যবহারের জন্য অনেকগুলো আইটেম একত্রে ব্যবহার করুন এবং ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন।


প্রতিদিনের কাজেই এনার্জি সেভিং এর বিষয়টি স্মরণ রাখতে হবে- কম্পিউটার বা ল্যাপটপে পাওয়ার সেভিং ফিচার ব্যবহার করতে হবে, স্ক্রিন সেভার না দিয়ে স্ক্রিন বন্ধ রাখুন।


এ্যপ্লায়েন্স বা বিনোদনের সিস্টেমগুলো ব্যবহারের পর সুইচ বন্ধ রাখুন, স্লিপ মুডেও এনার্জি খরচ হয়।
রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা +৫ ডি.সে. ও ফ্রিজারের তাপমাত্রা-১৮ ডি.সে. এ সেট রাখুন। ওভেনের দরজা ভাল করে বন্ধ রাখুন, ওভেন বার বার না চালিয়ে সব খাবার একসাথে রান্না করুন।


আলোর পজিশন রাখুন ভাল:

ইপিশিয়েন্ট ল্যাম্প বা বাতিকে ভালবাসতে শিখতে হবে! CFL সাধারণ বাতির চেয়ে প্রায় ৮০% কম বিদ্যুৎ খরচ করে, টেকেও ১০ গুণ বেশি। মেয়াদ শেষে যেখানে সেখানে না ফেলে যথাযথ ভাবে রি-সাইক্লিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

যখন ঘরে না থাকবেন বাতি বন্ধ রাখুন।



পুরা ঘরের জন্য বেশি পাওয়ারের বড় আকারের একটি বাতি ব্যবহার না করে কম পাওয়ারের একাধিক বাতি ব্যবহার করুন।


লাইট ফিটিং ও আলো প্রতিফলক নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন এতে কম খরচে বেশি আলো পাবেন।

রাস্তায় জালানি সাশ্রয়:

ক্রয় বা ভাড়া নেয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে কোন গাড়িতে জ্বালানি খরচ কম। সর্বশেষ ও সবচেয়ে বেশি  ইফিশিয়েন্ট মডেলের গাড়িটি ক্রয় করুন।


গাড়ি ক্রয়ের সময় দেখতে হবে বেশি ইফিশিয়েন্ট গাড়ির জন্য সরকারী কোন রিবেট বা ভর্তুকির ব্যবস্থা আছে কিনা।


অধিক জালানি খেকো এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহারের পরিবর্তে এয়ার ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে পারেন। প্রতিফলন ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়িন্ডস্ক্রিন শিল্ড ব্যবহার করতে পারেন যা গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করবে।


আপনার গাড়ির টায়ার প্রেশার নিয়মিত পরীক্ষা করুন। এমনকি নির্ধারিত মানের চেয়ে মাত্র ০.৫ বার কমও আপনার জ্বালানি খরচ ২% থেকে ৩% বাড়িয়ে দিতে পারে।


গাড়ির টায়ার ক্রয়ের সময় লেবেল থেকে রুলিং রেজিস্টেন্স দেখে নিন। কম রুলিং-রেজিস্টন্স জ্বলানি খরচ কম ও ঝাকুনিহীন চলতে সহায়ক হবে।


আপনার গাড়ি নিয়মিত সার্ভিসিং করান। সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত ইঞ্জিন লুব্রিকেশন, চাকা ও ব্রেকের পজিশন জ্বালানি খরচ কমাতে সহায়তা করে।

ইকো-ড্রাইভিং জ্বালানি মাইলেজ কমাতে সহায়তা করে। ঘন ঘন এক্সলেরেটর পরিবর্তন না করে একই স্পিডে ও সর্বোচ্চ গিয়ারে চালিয়ে জ্বালানি খরচ কমানো সম্ভব। এমনকি ৩০ সেকেন্ডও যদি অপেক্ষা করতে হয় তাহলে ইঞ্জিন বন্ধ করে পুনরায় চালু করা সাশ্রয়ী।


স্বল্প দূরত্বের ক্ষেত্রে গাড়ি ব্যবহার না করে হেঁটে, বাইকে, বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারের অভ্যাস করা যেতে পারে।



কর্মস্থলে জ্বালানি সাশ্রয়:

পুরা অফিস বিল্ডিং ও কোম্পানির জন্য এনার্জি সেভিং প্লান তৈরি করুন।


পুরাতন মটর পরিবর্তনের সময় এনার্জি ইপিশিয়েন্ট ও সঠিক সাইজের মটর ক্রয় করুন, বড় সাইজ সবসময়ই ভাল হবে এমন না। এতে পরিচালন ব্যয় কমবে।

জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারিদের মাঝে পুরস্কারের ব্যবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।




এমনকি আপনার জ্বালানি সরবরাহকারিওঃ

 বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে জেনে নিতে পারেন অধিক ইপিশিয়েন্ট ও এনার্জি সেভিং মিটার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য।

Saturday, September 21, 2013

মজার অংক শিক্ষা


মজার অংক শিক্ষা

সূত্র-১

মানুষ= খায়+ঘুমায়+কাজ করে+আনন্দ করে
গাধা= খায়+ঘুমায়

সুতরাং
মানুষ= গাধা+কাজ করে+আনন্দ করে

বা, মানুষ-আনন্দ করে= গাধা+কাজ করে

ব্যাখ্যাঃ
আনন্দ করা না জানা মানুষ= কাজ করা গাধা

সূত্র-২

পুরুষ= খায়+ ঘুমায়+ টাকা আয় করে
গাধা= খায়+ঘুমায়

সুতরাং
পুরুষ= গাধা+টাকা আয় করে
বা, পুরুষ-টাকা আয় করে= গাধা

ব্যাখ্যাঃ
যে পুরুষ টাকা আয় করে না= গাধা

সূত্র-৩

স্রী=খায়+ঘুমায়+খরচ করে
গাদা= খায়+ঘুমায়

সুতরাং
স্রী=গাধা+খরচ করে
বা, স্রী-খরচ করে= গাধা

ব্যাখ্যাঃ
যে স্রী খরচ করে না= গাধা

সিদ্ধান্তঃ

সূত্র-২ ও সূত্র-৩ হতে পাওয়া যায় গাধা হলো-
যে পুরুষ টাকা আয় করে না= যে স্রী টাকা খরচ করে না

পুরুষ টাকা আয় করে যাতে স্রী গাধা না হয়ে যায়!!!!

(শুধু মাত্র মজা করার জন্য)

Thursday, September 19, 2013

উল্কা রহস্য

 উল্কা কিঃ

উল্কা
প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ উল্কাকে এক রহস্যাবৃত বস্তু হিসেবে কখনও ছুটন্ত তাঁরা, ধোঁয়া, বজ্র বা সনিক বোম হিসেবে দেখে আসছে । কখনও আবার সৃষ্টিকর্তার উপহার বা বিশেষ ক্ষমতাধর উৎস হিসেবে ধর্মীয় সম্মান দেখিয়েছে। এ নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ইতিহাস ২০০ বছরেরও কম। উল্কা হল পাথর বা ধাতব খণ্ড যা আকাশ থেকে পড়ে। ভু-পৃষ্ঠে পড়ার আগে বড় বস্তু ভেঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। এর আকার মিলিমিটারের ভগ্নাংশ থেকে ফুটবলের আকার বা তার চেয়েও বড় আকারে হয়ে থাকে।

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ জনিত কারণে এদের গতি প্রতি সেকেন্ড ১৮. কি.মি. এরও বেশি হতে পারে অপেক্ষাকৃত পৃথিবীর অধিক ঘনত্বের বায়ু মণ্ডলে প্রবেশের ফলে ঘর্ষণ আগুন ধরা জনিত কারণে অতি দ্রুত গতি কমে যায়, ফলে পৃথিবীতে আঘাত করার আগেই অধিকাংশ উল্কা  আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র  অগ্নিস্ফুলিঙ্গ  আকারে ভূ-পৃষ্ঠে পড়ে

উল্কা
আমাদের সৌরজগতের মার্স জুপিটার এর মধ্যবর্তী কক্ষে হাজার হাজার বিভিন্ন আকৃতির পাথর রয়েছ যা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে এগুলো প্রায় ,৫৬৮ মিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছে কখনও দুটির মধ্যে ঘর্ষণের ফলে পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পরে অল্প কিছু উল্কা আবার  চাঁদ বা মার্স থেকে আসে এগুলোর বয়স অপেক্ষাকৃত বেশ কম



যদিও  অনেক উল্কাই মাটিতে পড়তে দেখা যায় না আবার অধিকাংশই পড়ে সমুদ্রে, তবুও বছরে প্রায় হাজারটির মত দেখতে পাওয়া যায় পৃথিবীর যে কোন জাগাতেই উল্কা দেখা যেতে পারে, তবে শুকনো এলাকা যেমন মরু অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ; কারণ গাছ-পালা, ঝুপ-ঝাড় কম থাকায় সহজেই হারিয়ে যায় না

Cosmo রসায়নবিদ হিসেবে বিজ্ঞানীরা উল্কার এই ক্ষুদ্র অংশের রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করে এর জীবন ইতিহাস উদ্ঘাটন করতে পারেন

উল্কার প্রভাবঃ

উল্কার প্রভাবে সৃস্ট গর্ত
উল্কার প্রভাবে সৃস্ট গর্ত


যখন এটা মাটিতে আঘাত করে তখনই কেবল এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয় গ্রহ সৃষ্টির সময় অবশিষ্ট প্রহাণু ঘুরতে ঘুরতে যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে  প্রবেশ করে তখন ছুটন্ত তারার মত এরা মাটিতে আঘাত করে এর আঘাতের প্রচণ্ডতা নির্ভর করে এর আকারের উপর, কারণ ছোট উল্কা পিণ্ড পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এসে এর গতি কমে যায় এবং বড় ধরনের কোন ক্ষতি ছাড়াই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভু-পৃষ্ঠে আঘাত করে


উল্কার প্রকারভেদঃ

লৌহ উল্কা


লৌহ উল্কাঃ লৌহ উল্কার প্রায় পুরাটাই মেটালের অধিকাংশই আয়রন-নিকেল দিয়ে তৈরি যার সাথে সামান্য সালফাইড কার্বাইড থাকে





পাথুরে-লৌহ উল্কা

পাথুরে-লৌহ উল্কাঃ পাথুরে-লৌহ উল্কার অর্ধেকটা মেটাল অর্ধেকটা সিলিকেট ক্রিস্টাল দিয়ে তৈরি অর্থাৎ আয়রন-নিকেল সিলিকেট মিনারেল থাকে ধরনের উল্কা পিন্ড দেখতে খুব সুন্দর হয়



পাথুরে উল্কা

পাথুরে উল্কাঃ এগুলো সিলিকেট মিনারেল দিয়ে তৈরি যত উল্কা পৃথিবীতে পড়ে তার অধিকাংশই পাথুরে





উল্কা সংগ্রহঃ 

প্রতি বছর যত উল্কা পৃথিবিতে আঘাত করে তার খুব অল্প সংখ্যকই মানুষ দেখতে পায়; বাকি অধিকাংশই সমুদ্রে বা বনে-জঙ্গলে হারিয়ে যায় এযাবৎ সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪৫,০০০ উল্কা সংগ্রহ করা হয়েছ

প্রতি বছর ২০ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৮০,০০০ হাজার উল্কা পৃথিবীতে পড়ে
নামিভিয়ান মরুতে প্রাপ্ত উল্কা
নামিভিয়ান মরুতে প্রাপ্ত উল্কা
নোলাবর মরুতে প্রাপ্ত উল্কা
নোলাবর মরুতে প্রাপ্ত উল্কা
অস্ট্রেলিয়ার নোলারবর আফ্রিকার সাহারা মরু অঞ্চল উল্কা খুঁজার জন্য উৎকৃষ্ট স্থান অধ্যবদি প্রাপ্ত উল্কার অধিকাংশই সংগ্রহ করা হয়েছে এ্যন্টারটিক্যা অঞ্চল থেকে



একটি উল্কাকে পৃথিবীতে আসার আগে অনেক দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে হয় যার বহু চিহ্ন এর মধ্যে সংযোজিত হয়; আর থেকে বিঞ্গানীরা সহজেই স্থানীয় পাহাড়ি পাথর মানব তৈরি মেটাল থেকে উল্কা পিন্ডকে পৃথক করে ফেলে




সম্প্রতিক কালের উল্কাঃ 

২০১৩ সালের ১৫- ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের উড়াল এলাকায় এক বৃহত্ উল্কা আঘাত করে যার গতি ছিল ঘণ্টায় ৬৬,৯৫০ কি.মি. যা শব্দের গতির প্রায় ৬০ গুণ  উল্কাটি বিস্ফোরণের ক্ষমতা ছিল প্রায় ৪৪০,০০০ টন অব টি এন টি, অর্থাৎ জাপানের হিরোশিমার আণবিক বোমার ২০-৩০ গুণ বেশি  কিন্তু ভূমি থেকে প্রায় ৭৬,০০০ ফুট উপরে বিস্ফোরিত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে মাটিতে পড়ে; ফলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম এতে প্রায় ১৫০০ লোক আহত হয় যার অধিকাংশই ঘর-বাড়ির জানাল-দরজার কাঁচ ভাঙ্গা জনিত কারণে         



রাশিয়ার উড়াল এলাকর আকাশে উল্কা
রাশিয়ার উড়াল এলাকর আকাশে উল্কা






                                   

You may like the following pages