WAZIPOINT Engineering Science & Technology: January 2014

Wednesday, January 15, 2014

গুরুত্বপূর্ণ জব ইন্টার্ভিউ টিপস

৫টি সেরা গুরুত্বপূর্ণ ইন্টার্ভিউ টিপস কি?

চাকুরির ইন্টারভিউ টেবিলের আবস্থান
ছবি-পেঙ্গুইন ইন্টারভিউ মোকাবেলা করছে
আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুনএটা খুবই কমন ও ভয়ের একটা প্রশ্ন যা প্রায় সব ইন্টার্ভিউতেই জিজ্ঞাসা করা হয় এবং এসময় প্রায় শতকরা ৪০ জনই মনে করে সুযোগটা এই বুঝি জানালা দিয়ে বের হয়ে গেল।

অভিজ্ঞ ইন্টার্ভিউ গ্রহণকারীরা বলেন এ প্রশ্ন শুনে প্রায় অর্ধেকেই অপ্রস্তুত হয়ে যায় আসলে কি বলতে হবে।

আবার শতকরা প্রায় ৩৫ জনই এটাকে একটা গুরুত্বহীন প্রশ্ন মনে করে।
এমনকি অধিকাংশ অভিজ্ঞ-লোকও তাদের কর্মক্ষমতা ও অর্জন সম্পর্কে সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে ঘাবড়ে যায় বা সামর্থ্য হয় না।

আসলে ইন্টার্ভিউ গ্রহণকারীরা প্রথম ৪/৫ মিনিট  ক্যান্ডিডেটের মানসিকতা যাচাই করার জন্য এধরনের প্রশ্ন করে থাকেন। ক্যান্ডিডেট এর মাইন্ড-আপ সংক্রান্ত জটিলতা কাটানোর উপায় সংক্রান্ত ইদানীং অনেক মোবাইল অবশ্য বের হয়েছে।

ইন্টার্ভিউ দিতে আসা অধিকাংশ-জনেরই ধারনা, ইন্টার্ভিউ গ্রহণকারীরা তার বায়ো-ডাটা ও কভার লেটার পড়ে ইতিমধ্যে তার সম্পর্কে অনেক জেনেছেন। কিন্তু তারা বায়ো-ডাটা থেকে শুধু বিষয়ভিত্তিক জেনেছেন, সাক্ষাতকার থেকে তারা জানতে চাচ্ছেন উক্ত পদের জন্য ক্যান্ডিডেট কিভাবে ও কতটা উপযোগী। তারা ক্যান্ডিডেটকে কর্মক্ষেত্রের একটি কাল্পনিক পরিবেশ প্রদর্শন করে, উক্ত পরিবেশে সে কিভাবে উত্তীর্ণ হবে তা ধারনা করতে সমর্থ হয়।

৫টি গুরুত্বপূর্ণ ইন্টার্ভিউ টিপস কি কি?

০১. আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন:

এটাকে মূলত আইচব্রেকারপ্রশ্ন বলা হয়। আপনার জ্ঞানের ভাণ্ডার পরখ করার একটা প্রাথমিক প্রচেষ্টা মাত্র। এটা দিয়ে আসলে অগঠনমূলক প্রশ্নের বিপরীতে আপনি কতটা গঠনমূলক উত্তর দিতে পারেন তা প্রমাণিত হবে- যেমন আমি যদিও বিড়াল, কপি ও নাচতে ভালবাসি, তাই বলে সব একত্রে নামনে রাখতে হবে আপনার বায়ো-ডাটা আপনাকে ইন্টার্ভিউ এর সুযোগ করে দিয়েছে, তাই বলে আপনি আপনার মাথা কারও পায়ে ঠেকাতে পারেন না।

০২. আপনাকে ৫ বছরে আপনি কোথায় দেখতে চান?

উত্তরে আমি আপনার চাকুরীতেই দেখতে চাইবলাটা অনেক সহজ। অনেকেই একই কোম্পানিতে অনেকদিন থাকতে চান না, তাই এমন প্রশ্ন করা হয়। তবে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সম্পর্কে অবশ্যই সততার সাথে ভাবতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে ইন্টার্ভিউ গ্রহণকারী-গন সম্ভাব্যতা দেখতে পাচ্ছেন। আপনার ভবিষ্যৎ চাহিদার পরিমাণ ও প্রকৃতি অবশ্যই যে সহকর্মী দলের সাথে যোগ দিতে চাচ্ছেন তার সংস্কৃতির সাথে মিল থাকতে হবে।

০৩. আপনার সবলতা ও দুর্বলতা কি?

আমি কঠোর পরিশ্রম করিএমন উত্তর সাধারণত ইন্টার্ভিউ গ্রহণকারীদের খুশি করতে পারে না। এমন প্রশ্ন করে ইন্টার্ভিউ গ্রহণকারীরা আপনার  মধ্যে প্রকৃত আপনাকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন। দুর্বলতা প্রকাশ করাটা যদিও কারও জন্য প্লাস পয়েন্ট না তবুও মনে রাখতে হবে এ দ্বারা আসলে জানতে চাওয়া হয় আপনার সমস্যা সমাধানের পদ্ধতিটা কি। কম গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় এক্ষেত্রে আলোচনা করাই শ্রেয়।

০৪. আপনার জীবনে করণীয় অন্তত একটি ভুলের বর্ণনা দিন:

তার মানে তারা আপনার কাছে জানতে চাচ্ছে যে কোন ধরনের ভুলকে আপনি কি ভাবে ম্যানেজ  করেন। কোন কিছুর বিপরীত বা অভ্যন্তরের কিছু জানার আগ্রহ আছে মানে আপনি অভিজ্ঞ এবং আপনার ম্যানেজ করার পদ্ধতিটাই বোর্ড জানতে চাচ্ছে।

০৫. আপনাকে চাকুরী দিলে আপনি কোম্পানির জন্য কি করতে পারবেন?

তার মানে আপনি আপনার করণীয় কাজ সম্পর্কে বুঝতে পারছেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইন্টার্ভিউ বোর্ডকে জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

Friday, January 3, 2014

ভূগোল বিজ্ঞানে যাদের অবদান


Islamic States
ছবি ইসলামিক জগৎ

ইসলামিক জগৎ


আমরা সবাই জানি ভূগোল ও বিজ্ঞানে মুসলমানের অবদান অপরিসীম।কিন্ত আমরা অনেকেই জানি না কেন সেসময় মুসলমানদের ভূগোল সম্পর্কে এত আগ্রহ ছিল, কিভাবে ও কোন উপায়ে এ ভৌগলিক জ্ঞান অর্জন করে ছিল।

দামেস্কের উমাইয়াহ্ খেলাফত ৬৬০ থেকে ৭৫০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল এবং এর বিস্তৃতি ছিল পশ্চিমে স্পেন ও মরোক্ক থেকে পূর্বে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত। ৭৬২ সালে খলিফা আল মানসুর বাগদাদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সাম্রাজ্যের সীমানা এশিয়ায় আরও বিস্তৃতিসহ পূর্বে চীন পর্যন্ত বর্ধিত করেন। আর এ বিশাল সাম্রাজ্য অতিদ্রুত সম্প্রসারন লাভ করে যা রোমানদের চেয়েও অধিক সমৃদ্ধ ও ব্যাপক ছিল। এসময় আরব বণিকেরা গ্রিক, রোমান, পারসিক, চৈনিক ও ভারতীয়সহ বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জনগোষ্ঠির সংস্পর্শে আসেন। রাষ্ট্রীয় ও বানিজ্যিক  কাজে আরব দূত ও বণিকেরা রাশিয়া ও স্ক্যান্ডিনেভিয়াসহ বিভিন্ন নতুন নতুন এলাকা ভ্রমন করেন যা আরবদের ভৌগলিক ও বৈজ্ঞানীক জ্ঞানের প্রয়োজনিয়তা ও আগ্রহী করে তুলে।

উমাইয়াহ্ শাসনামলের পর ৭৫০ সালে আব্বাসীয় শাসনামল শুরু হলে সভ্যতা-সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। এ সময় বাগদাদে অনুবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয় যেখানে স্থাণীয় ও বিভিন্ন দেশ থেকে অভিজ্ঞ অনুবাদক এনে গ্রিক, পারসিক, ভারতীয় ও অন্যান্য সংস্কৃতি-সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞান আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।  প্লেটো, সক্রেটিস, হোমার ও অ্যারোস্টোটলের মতো গ্রিক বিখ্যাত মনিষীদের রচনাবলিসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন-ভূবিজ্ঞান, মহাকাশীয় বিজ্ঞান, আবহাওয়া, খনিজ, প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা ও দর্শনশাস্ত্রসহ জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা গুরুত্বসহ অধ্যয়ন করা হয়। কিন্ত আরবি মনীষীরা এসময় অ্যারোস্টেটলের বিজ্ঞানের বিষয়াবলির প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হয়ে পরেন।

বিশাল সাম্রাজ্যের প্রাশাসনিক, বানিজ্যক ও ধর্ম প্রচার কাজের স্বার্থে দূরদূরান্ত ভ্রমনের জন্য মুসলমানরা ভূগোল বিজ্ঞানে অধিকতর আগ্রহী হয়ে উঠেন। আর এভাবেই পরবর্তীতে মুসলমানদের হাত ধরেই ভূগোল  বিজ্ঞান অধিকতর সমৃদ্ধি লাভ করে।

You may like the following pages