WAZIPOINT Engineering Science & Technology: পোষাপ্রাণি দিয়েই চিকিত্সা সেবা

Friday, September 6, 2013

পোষাপ্রাণি দিয়েই চিকিত্সা সেবা


পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পোষা প্রাণি যেমন-অন্ধদের জন্য গাইড ডগ মানুষকে অনেক বড় উপকার করে থাকে। 

সব ধরনের পোষা প্রাণিই যেমন- কুকুর, বিড়াল, এমন কী গোল্ড-ফিস থেকেও আমরা বিভিন্ন ধরনের থেরাপি সুবিধা পেয়ে থাকি। পোষা প্রাণি মানুষকে একাকীত্ব থেকে মুক্ত করে; মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে; সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সুন্দর ভূমিকা রাখে; শরীরচর্চা ও খেলোয়ারমনা হতে উত্সাহিত করে এবং কোন ধরনের শর্ত ছাড়াই আমাদেরকে ভালবাসা ও বন্ধুত্ব দিয়ে থাকে এমনকি কখনও কখনও জীবনের বিনিময় হলেও!

মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর পোষাপ্রাণির প্রভাব: যেখানে অধিকাংশ পোষাপ্রাণির মালিকের কাছেই এটা স্পষ্ট যে জীবনের তাৎক্ষনিক আনন্দগুলো তাদের সাথী পোষাপ্রাণির সাথে ভাগাভাগির মাধ্যমেই আসে; কিন্তু তাদের অনেকেই জানেন না যে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুবিধাও তাদের এই বন্ধুদের সাথে খেলা-দোলা আর আড্ডা দিয়েও পাওয়া সম্ভব। মানুষ ও প্রাণির মধ্যে বন্ধুত্বের সুবিধা অসুবিধার বিষয়টি নিয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের জন্য অতিসম্প্রতি গবেষণা শুরু হয়েছে। আর এসব গবেষণা থেকে জানা যায় যে-


যাদের পোষা প্রাণি আছে তারা যাদের পোষা প্রাণি নাই তাদের তুলনায় অনেক কম মানসিক অশান্তিতে ভূগেন;

বিভিন্ন মানসিক চাপে যাদের পোষা প্রানি আছে তারা যাদের পোষাপ্রানি নাই তাদের তুলনায় অনেক কম রক্ত চাপে ভূগেন;

 পোষা প্রাণির সাথে খেলা করে  সেরোটনিন ও ডোপামাইন এর পরিমাণ বৃদ্ধি করা সম্ভব যা দেহ ও মন শান্ত ও হালকা করে;

 যাদের পোষা প্রাণি আছে তাদের যাদের পোষা প্রাণি নাই তাদের তুলনায় কোলেস্টরেলের পরিমাণ ও হার্টের অসুখ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম;

হার্ট এ্যটাককারী যেসব রোগীর পোষা প্রানি আছে তারা যাদের নাই তাদের তুলনায় বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারেন;

৬৫ বছরের বেশি বয়সী যাদের পোষা প্রানি আছে তাদেরকে যাদের নাই তাদের তুলনায় ৩০% কম ডাক্তারের নিকট যেতে হয়;

 পোষা কুকুর বা বিড়াল হতে হবে এমন নয়, বরং একুরিয়ামের মাছের দিকে তাকানোও পেশির চাপ ও রক্ত প্রবাহের গতি নিয়ন্ত্রনে থাকতে সহায়তা করতে পারে।

মানুষের প্রাথমিক চাহিদার একটি হল স্পর্শ করা আর সকল পোষা প্রাণিই তা পূরণ করে থাকে, তাই পোষাপ্রাণি এসব থেরাপিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। এমনকি ভয়ংকর অপরাধী কয়েদিও দীর্ঘ সময় পোষা প্রানির সংস্পর্শে থেকে তাদের আচরণ পরিবর্তিত হতে দেখা গেছে। আমরা অতিরিক্ত চাপ ও ক্লান্তিকর সময়ে আদরের পোষাপ্রাণিকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরে বা স্পর্শ করে অতি অল্প সময়ে প্রশান্তি ও আনন্দ অনুভব করি।

No comments:

Post a Comment

WAZIPOINT:
Thank you very much to visit and valuable comments on this blog post. Keep in touch for next and new article. Share your friends and well-wisher, share your idea to worldwide.

You may like the following pages