WAZIPOINT Engineering Science & Technology: Nature
Showing posts with label Nature. Show all posts
Showing posts with label Nature. Show all posts

Thursday, December 26, 2019

চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্য্য গ্রহণের কল্প কথা

 

দেশ-বিদেশর কল্প-কথায় চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্য্য গ্রহণ

Eclips

বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে আর কোন কল্প কথার স্থান নাই। প্রমান ছাড়া এখন আর কোন কিছুই যেন বিশ্বাস করা বা করানো সম্ভব না। কখনও এমনও ঘটছে যে বাবা-মা ও সন্তানের সম্পর্ক প্রমানের জন্যও বৈজ্ঞানীক প্রমানের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। মানুষ চাদের পিঠে গিয়ে দেখে আসছে, সূর্য্য সম্পর্কে জানছে অনেক অজানা তথ্য।

কিন্ত তার পরেও মাঝে মধ্যে জানতে ঈচ্ছা করে কল্প কথা, কল্প কাহিনী। আর তাই আজকের আয়োজন চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্য্য গ্রহণের দেশ বিদেশের কল্প কথা। তবে এ লেখা কাউকে হেয় বা ছোট করার জন্য নয়; নয় কারও বিশ্বাসে আঘাত করার জন্য। শুধুই জানার জন্য। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ কাউকে আক্রমন করে মন্তব্য করবেন না।
01. চন্দ্র গ্রহণ বা সূর্য্য গ্রহণ আসলে সূর্য্য ও চাদের মধ্যে যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিরোধের জন্য ঝগড়ার ফল। গ্রহণের সময় মানুষেরা যখন ঘর থেকে বের হয়ে আসে দেখার জন্য, তখন চাদ ও সুর্য্য মনে করে পৃথিবীর মানুষরা তাদের ঝগড়া থামাতে আনুরোধ করছেন, তাই তো ঝগড়া থেমে যায়। আফ্রিকা মহাদেশের টগো ও বেনিন দেশের মানুষের মধ্যে এমন কল্প কথাই প্রচলিত। 
02. চন্দ্র গ্রহণ আসলে কিছুই না, একটা চিতা-বাঘ চাদকে আক্রমন করে খেয়ে ফেলার জন্য। প্রমান হলো পূর্ন গ্রহণের সময় চাদের চার দিকে লাল রক্তের আবা দেখা যায়, তাছাড়া গ্রহণের সময় চাদ ভয়ে কাপতে থাকে। মানুষের ধারনা, চাদকে খাওয়ার পরে পৃথিবীকে আক্রমণ করবে এবং সমস্ত মানুষ খেয়ে ফেলবে। আর এ থেকে বাচার জন্য হাউ-কাউ করে অনেক শব্দ করে থাকে এবং তাদের পোষা কুকুর পিটিয়ে কুকুরের শব্দ করে থাকে যাতে চিতা কুকুরের শব্দ শুনতে পায়। কারণ চিতা কুকুরকে বেশ ভয় পায়। 
03. কোন কোন এলাকার মানুষদের কল্প বিশ্বাস, চাদের ২০ জন বউ আছে। আরও আছে অনেক পোষা প্রাণী যার মধ্যে হিস্র পাহড়ী সিংহ ও সাপও রয়েছে। বেচারা চাদ একা যখন এতগুলো প্রাণী ও বউদের জন্য খাবার আনতে ব্যর্থ হয়, তখন পোষা প্রণীগুলো চাদকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করে ফেলে। অবশেষে বউরা এসে চাদকে রক্ষা করে ও রক্ত দিয়ে সুস্থ করে তুলে। 
04. আমেরিকার কোন কোন উপজাতিদের কল্প বিশ্বাস, চাদ মাঝে মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর অসুস্থ চাদকে সুস্থ করার দ্বায়িত্ব এসব উপজাতি লোকদের। তাইতো চন্দ্র গ্রহণের সময় তারা গান গেয়ে ও প্রার্থণা করে চাদকে সুস্থ করে তুলে। 
06. কিছু কিছু হিন্দুদের বিশ্বাস, গ্রহণের সময় গোসল করতে পারলে রোগ-ব্যাধি, আপদ-বিপদ দুর হয়ে যায়। তাইতো গ্রহণের সময় গঙ্গায় গোসলের ভীর পরে যায়। আবার চায়নার কোন কোন সম্প্রদায় এটাকে ব্যবসা ও সংসারের মঙ্গলের প্রতীক হিসাবে মনে করেন।

07. আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াতে লোকদের বিশ্বাস পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতির পাপের কারণে ঈশ্বর রাগান্নিত হওয়ার বহি:প্রকাশ হলো চন্দ্র ও সূর্য্য গ্রহণ। (এই বিশ্বাসের কারণে ২০০১ সালে কিছু বিজ্ঞান মনা লোক কল্পবিশ্বাসীদের উপর আক্রমণ করেন, ফলে ২০০৬ সালের গ্রহণের পুর্বেই সরকার গ্রহণের বৈজ্ঞানীক কারণ ব্যাখ্যা করে জনসংযোগ করেন)।
08. ভারতের কোন কোন সম্প্রদায় মনে করেন চন্দ্র ও সূর্য্য গ্রহণের সময় সামনের সমস্ত খাবার ছুড়ে ফেলতে হবে, কারণ তা আর নিরাপদ থাকে না। 
09. প্রাচীন কল্প বিশ্বাস হলো, চন্দ্র-সূর্য্য যে কোন গ্রহণ আসলে দুইটা বৃহত নওজোয়ানের মধ্যে পরমাত্না পাওয়ার লড়াই। আর এ সময়ই গ্রহণ হয়ে থাকে। যে এ লড়াইতে আন্যকে মেরে জিতে যাবে সেই পরমাত্না লাভ করবে। 
10. মধ্য যুগ পর্যন্ত ইউরোপিয়ানদের বিশ্বাস ছিল চন্দ্র বা সূর্য্য গ্রহণের সময় মিলনে যে শিশু জন্ম গ্রহণ করে তা কুৎসিত ও যাদুকরী শক্তিসম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই তারা এ সময়কে এরিয়ে চলতো। 
11. বর্তমান যুগের কল্প-কথায় অনেকে বিশ্বাস করেন যে, চন্দ্র গ্রহণ বা সূর্য্য গ্রহণের সময় কোন গর্ভবতী মহিলা যদি তার পেট স্পর্শ করেন তাহলে গর্ভের সন্তান জন্মদাগ নিয়ে জন্মাবে। আর এ দাগের আকার নির্ভর করে কত জুড়ে স্পর্শ করা হয়ে ছিল তার উপর। 
12. এসকুমো’রা কল্প বিশ্বাসের ভরে, চন্দ্র গ্রহণ বা সূর্য্য গ্রহণের সময় তাদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উল্টিয়ে রাখেন। তাদের ধারণা মহিলারা চন্দ্র গ্রহণ বা সূর্য গ্রহণের সময় তাদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উল্টিয়ে রাখতে ভুলে যাওয়ার কারনেই তাদের রোগ-ব্যাধি হয়ে থাকে। তাইতো গ্রহণের সময় মহিলারা তাদের চামুচ, কাটা-চামুচ, ছুরি উল্টিয়ে রাখেন। কারণ তাদের বিশ্বাস অসুস্থ চন্দ্র-সূর্য্য রশ্মির মাধ্যমে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। 
13. অনেকের বিশ্বাস ভিজা চুলে ঘুমালে চন্দ্র গ্রহণের প্রভাব হয়। 
14. চাইনিজ কল্প কথা অনুসারে, কোন এক প্রেতাত্না বিশিষ্ট ড্রাগন সূর্য্য বা চন্দ্রকে গিলে ফেলে যা পৃথিবীর মানুষ গ্রহণ হিসেবে দেখেন। তাইতো আদিম চাইনিজ’রা চন্দ্র বা সূর্য্য গ্রহণের সময় ড্রাগনকে তাড়ানোর জন্য পৃথিবী থেকে বাদ্য-যন্ত্র, হড়ি-পাতিল, লোটা-বদনা বাঝিয়ে প্রচন্ড শব্দ করে থাকত। আধুনিক চাইনিজ’রা উনবিনশ শতাব্দীর প্রথম দিকে সমুদ্র থেকে নৌ সেনারা কামানের গোলা ছুড়ে মারত ড্রাগন তারাতে। 
15. ভারতের কোন কোন সম্প্রদায় চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্য্য গ্রহণের আগে ও পরে গোসল করে নিজেকে পবিত্র করে নেয়। এতে সমনস্ত প্রেতাত্নার আছর থেকে নিজেকে মুক্ত করা হয়। আর । ভবিষ্যতে যাতে এমন অসুভ দৃশ্য না দেখতে হয় তার জন্য পেসাব দিয়ে চোখ ধোয়ে পবিত্র করা হয়। 
16. তিব্বতীয়’দের কল্প কথায় আছে, চন্দ্র গ্রহণ বা সূর্য্য গ্রহণের সময় ভাল বা মন্দ যেকোন কাজই করা হোক না কেন, তার ফলাফল হাজার গুণ বর্ধিত হয়ে যায়। 
17. রেড ইন্ডিয়ানদের ওঝিবাউয়াস সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন যে, চন্দ্র-সূর্য্য জ্বলতে জ্বলতে এর আগুন নিভে যায়। ফলে চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্য্য গ্রহণ হয়ে থাকে। তাই পুন:রায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তারা তীরের মাথায় আগুন ধরিয়ে চন্দ্র বা সূর্য্যের দিকে ছুড়ে মারে। ফলে চন্দ্র বা সূর্য্য আবার তার আসল উজ্জলতা শক্তি ফিরে পায়। 
18. নীলগিরি’র কোন সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন যে, চাদের পিঠে একটা খরখোশ আছে। যখন চন্দ্র দস্যু খরখোশকে গিলে ফেলে তখন চন্দ্র গ্রহণ হয়। দস্যুর হাত থেকে খরখোশকে রক্ষার জন্য তারা পৃথিবীতে চেচামেচি ও শব্দ করে থাকে, এমন কী চন্দ্র গ্রহণকালীন সময় তারা কোন কিছু না খেয়ে রোজা পালন করে থাকে। 
19. মান্ডা সম্প্রদায়ের কল্প বিশ্বাস, চন্দ্র ও সূর্য্য ধানকো দেবতার কাছ থেকে টাকা ধার করে, কিন্ত যথাসময়ে দেনা শোধ করতে না পারায় ধানকো তাদের জেলখানায় আটকিয়ে রাখে। তাইতো চন্দ্র ও সূর্য্য গ্রহণের সময় তাদের দেখা যায় না। তাই তারা তাদের যন্ত্রপাতি, ধান, যোদ্ধাস্ত্র একত্র করে বিচারালয়ের সামনে হাজির করেন যাতে চন্দ্র-সূর্য্য তা গ্রহণ করে ও তা দিয়ে দেনা শোধ করেন। 
20. মিশরের ফেরাউন বাদশা মনে করতেন সূর্য্য সবসময় চলন্ত, তাই সুর্য্য দেবতার গ্রহণের সময় বাদশা প্রধান টেম্পলের সামনে সূর্য্যের প্রতিনিধী হিসেবে হাটা-হাটি করতে থাকতেন। 
21. জাপানি কল্প কথা অনুসারে, সূর্য্য গ্রহণের সময় সূর্য্যের আলো কমে যায়। আর তারা সে ঘাটতি পূরণের জন্য একধরনের চকচকে পাথড়ের তৈরী গলার মালা ক্লাউরিয়া গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখতেন যাতে আলো ছড়িয়ে সূর্য্যের ঘাটতি আলো পূরণ করতে পারে। 
22. কোরিয়ান কল্প কথা হলো কালপনিক কুকুর সূর্য্যকে চুরি করে নিয়ে যায়। ফলে সূর্য্য গ্রহণ হয়।

চন্দ্র গ্রহণ ও সুর্য্য গ্রহণের সার কথা:

ইসলাম ধর্মের হাদিস গ্রন্থ অনুসারে ইসলামের নবী মুহাম্মদ ( সাঃ) এর শিশু সন্তান যে দিন মারা যান সেদিন সূর্য্য গ্রহণ হয়েছিল। লোকজন বলাবলি করতে লাগলেন আল্লাহ্ তার সম্মানে এমন ঘটনা ঘটিয়েছন। তখন তিনি ব্যাখ্যা করে বল্লেন চন্দ্র গ্রহণ বা সূর্য্য গ্রহণ কাহারো জন্ম-মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত নয়। বরং এটা আল্লহর নিদর্শনাবলির মধ্যে একটি। তিনি তাহার অনুসারিদের নিয়ে সূর্য্য গ্রহণ চলাকালিন সময় মসজিদে নামাজ আদায় করলেন।
আরও জানতে পড়ুন-
Technorati Tags: ,,

Thursday, May 22, 2014

Colour of Nature

The Beauty of Nature and it's Various color

This is the beauty of krishnachura in this summer here in Bangladesh,  you find this heart-touching beauty in this time any where in the country.

Six seasoned Bangladesh decorates with various colour to make happy and joyful us. Nature have a hella engineering plan to entertain every creature on this universe. We see various color in different places to fulfill natural requirements.
Nature selection is very much scientific, organized as different purpose and maximum usable way.

There is some deep thinking and researching materials for intelligent .

Beautiful Bangladesh
Beautiful Bangladesh 

You may like the following pages